বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দাবিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সকল বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ঢাকায় অবস্থান করছেন। এক দফার দাবিতে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ জন্য উপজেলার সকল বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) উপজেলার  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অফিস খোলা রয়েছে কিন্তু শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ। শিক্ষার্থীরাও আসেনি স্কুলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে এক দফার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। তখন শ্রেণি কার্যক্রম চালু রেখে প্রতি বিদ্যালয় থেকে দুইজন করে শিক্ষক ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে (১৩ জুলাই) বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় বন্ধ করে সকল শিক্ষককে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৬ জুলাই) থেকে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষকবৃন্দ ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদান করেন।

এ ব্যাপারে বোয়ারমারী জর্জ একাডেমির একজন অভিভাবক হানিফ মোল্যা শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে বলেন, শিক্ষকরা আন্দোলন না করে কি করবে। শুনেছি বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা খুবই কম। শিক্ষকতা করে তাদের পেট চলেনা। অপরদিকে সরকারি হলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কম বেতন দিয়ে পড়তে পারবে। সাথে আরও সুযোগ সুবিধা পাবে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয় করণের এক দফা দাবিতে শিক্ষকবৃন্দ ঢাকায় অবস্থান করছেন। জাতীয়করণের ঘোষণা ছাড়া শিক্ষকরা ঘরে ফিরে যাবেনা। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সেই আন্দোলনের সূত্র ধরেই আজ এক দফার আন্দোলন করা হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয় করনের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে হবে। সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং জয়পাশা সৈয়দ ফজলুল হক একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা বলেন, আর ২/৩ দিন ক্লাস ছিল। এরপর গ্রীষ্মকালিন ছুটি। এই ছুটির মধ্যে আন্দোলন করলে ভাল হতো। যদিও বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন ধরে বৈষম্যের শিকার। শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিকে যৌক্তিক দাবি বলে একমত পোষণ করেন সৈয়দ রাসেল রেজা।